নিজস্ব প্রতিনিধি : সোনালী ব্যাংক গোপালপুর শাখায় দীর্ঘ দিন ধরে সেভিংস চেক বই না থাকায় প্রবাসীদের পাঠানো টাকা অনলাইনে লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে। ফলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে প্রবাসীর আত্মীয়স্বজনরা।
জানা যায়, এ উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা দেশে প্রবাসী জীবনযাপন করেন। তাদের পাঠানো টাকায় অভাবী পরিবারের সদস্যদের ভরপোষণ, চিকিৎসা এবং লেখাপড়ার কাজ চলে। সোনালী ব্যাংক গোপালপুর শাখায় সাধারণত রেমিটেন্সের এ টাকা লেনদেন হয়। কিন্তু ৬ মাস ধরে এ শাখায় সেভিংস চেক বই নেই। গ্রাহকদের ভোগান্তি সত্বেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেক বই সরবরাহে টালবাহানা করছেন। নগদাশিমলা ইউনিয়নের জামতৈল-গোলাবাড়ি গ্রামের গৃহবধূ মাসুদা বেগম অভিযোগ করেন তার স্বামী সৌদি আরবে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। সোনালী ব্যাংক গোপালপুর শাখায় তার নামে একটি সেভিংস একাউন্ট রয়েছে। ঈদের আগে তার স্বামী সংসার নির্বাহ এবং বাচ্চাদের লেখাপড়ার জন্য বেশ কিছু টাকা পাঠান। সোনালী ব্যাংক গোপালপুর শাখা থেকে এ টাকা অনলাইন চেকের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক ঢাকার মিরপুর শাখা থেকে উত্তোলনের আবেদন জানান তিনি। কিন্তু ব্যাংকে সেভিংস চেক বই না থাকায় তিনি চেকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় টাকা ট্রান্সফার করতে পারছেন না। এক সপ্তাহ ধরে তাকে ঘোরানো হচ্ছে।
গত বুধবার ওই ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, মাসুদা বেগম ছাড়াও অনেক প্রবাসীর আত্মীয়স্বজন সেভিংস চেক বইয়ের অভাবে টাকা অন্য শাখায় স্থানান্তর করতে না পারায় বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেক বই নেই এ অজুহাত দেখিয়ে তাদেরকে ফেরত দিচ্ছেন। অনেকেই চেকের মাধ্যমে সময় মতো টাকা ট্রান্সফার করতে না পারায় ঈদের কেনাকাটা করতে পারে নাই।
এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, সেভিংস চেক বইয়ের সংকট চলছে। চেক বই সরবরাহের জন্য টাঙ্গাইল জোনাল শাখাকে বলা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ চেক বই পাওয়া যাবে তা বলা যাচ্ছেনা।